‘আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী জানাতে হবে’

01মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী জানাতে হবে। একইভাবে হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল শামসের হত্যা, নারী নির্যাতন, নিপীড়ন আর তাদের পৈশাচিকতা সম্পর্কেও জানাতে হবে। যাতে করে তারা উভয়পক্ষের কথা জেনে সামগ্রিক মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে পারে। না হলে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর বীরত্বের কথা ভুলে যাবে।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সিলেট থেকে মৌলভীবাজার জেলা যাওয়ার পথে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। আপনারা নিজ নিজ সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোভাবে শিক্ষা দেন। তারা যদি ‘জিন্দাবাদের’ স্লোগানে লিপ্ত হয়, তাহলে আমাদের আর ইজ্জত থাকবে না।’
রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত রাজনগর কলেজ পয়েন্টকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এবং সেটি প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী নামে নামকরণের দাবি জানান। এ দাবির ব্যাপারে মন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মৌলভীবাজারের রাজনগর ও কুলাউড়া এবং ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ত্রিমূখী কলেজ পয়েন্টকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর করা হবে এবং সেটি প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নামে হবে।’

রাজনগর সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সজল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন বখত, মনসুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরজান খান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজি, ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আহমদ, কৃষক লীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমানসহ অনেকে।