হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান!






শ্রমিকদের সাংবাদিক সম্মেলন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীবাড়ি চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত টাকা পঞ্চায়েত প্রধান আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়। শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক রুপু কর্মকার। এ সময় ১৬ জন চা শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আজকে ভারাক্রান্ত হৃদয় ও অনেক কষ্ট বেদনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমরা চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীবাড়ি চা বাগানের শ্রমিক। আমাদের বাগানে প্রায় ১২শ শ্রমিক কাজ করে আসছে। এর মধ্যে ৪ শতাধিক শ্রমিককে জন প্রতি ৫ হাজার হাজার টাকা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টাকাগুলো উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আসে।

বাগানের পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিত রিকমুন তালিকা করে টাকাগুলো বিতরণ করেন। তালিকার সময়ও তিনি অনেক শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেন। তারপর তিনি শ্রমিকদের সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন একই বাগানে সাজন কর্মকার, রাম বাবু তাতী ও বিজয় গোয়ালা।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার তার কাছে টাকা চাইলেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি বরং উল্টো আমাদের নিরীহ শ্রমিকদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা ভোক্তভোগী চা শ্রমিকরা আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সমাজসেবা অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ সকল দফতরে অভিযোগ দেওয়ার পরও ঘটনার কোনও সুরাহা হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রমিকরা জানান, পঞ্চায়েত প্রধানসহ টাকা আত্মসাতকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা নিরীহ শ্রমিকদের ঠকিয়ে মৃত ব্যক্তি, বিধবা ব্যক্তি ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের নামে বেনামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে আসছেন। এ নিয়ে যে কোনও সময় বাগানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এর জন্য পঞ্চায়েত প্রধান দায়ী থাকবেন। শ্রমিকরা টাকা আত্মসাতকারী পঞ্চায়েত প্রধানের শাস্তি দাবি এবং টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।