জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ, আটক ১

সুনামগঞ্জে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে একজন যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।

লাঞ্চনার শিকার চিকিৎসক ডা. আবু জাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘ছেলেটি ভোরে সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে এসে তার ভাই অসুস্থ জানিয়ে আমাকে তার সঙ্গে বাড়ি যেতে বলে। আমি তাকে বললাম, জরুরি বিভাগ ছেড়ে আমি যেতে পারবো না। সে আমাকে জোরাজোরি করে যেন আমি তাকে ওষুধ লিখে দিই। অনুরোধ করতে থাকায় এক পর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে লিখে দিই। কিন্তু সে আবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার রোগীকে নিয়ে আসে। আমি অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে চেয়ারে বসার পর সে আমাকে চড় মারে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবকের নাম মিজানুর রহমান (২০)। সে সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা। সে এর আগেও গত বছর ডিসেম্বরে এক নার্সকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সালিশি সভায় ওই ঘটনার মীমাংসা করা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সুনামগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাশ বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং ওই বখাটে যুবককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। আমি শুনেছি, এই ছেলেটা আগেও আমাদের নার্সকে ছুরিকাঘাত করেছে, তাদের ভয়ে সুনামগঞ্জে ডাক্তারই থাকতে চান না। আমি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকা প্রয়োজন মনে করছি।’

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগামী আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সভায় এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলবো। এখানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা না দিলে কোনও চিকিৎসকই থাকবেন না। আমরা আজকের ঘটনায় মামলা করবো এবং আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা হলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’