ধর্ষণের ভিডিও ধারণের পর ৯ লাখ টাকা চেয়েছিল আসামিরা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নববধূ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মিঠু মিয়া (২৩) নাম এক আসামি গ্রেফতারের পর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। মিঠু উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। 

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান ‍উদ্দিন প্রধানের সামনে মিঠু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। 

হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, মিঠু মিয়া এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় প্রথম কোনও আসামি দায়স্বীকার করেছে। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট উপজেলার এক যুবক তার স্ত্রীকে নিয়ে টিক্কা হাওরে ঘুরতে যান। পরে মোড়াকরি গ্রামের মুছা মিয়ার নেতৃত্বে আট যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়াও হুমকি দেয়। ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। তবে বুধবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী।

ঘটনার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নববধূর স্বামীর নিকট ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। পরে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন ছোট্টু মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান হোসেন রনি (২২), একই গ্রামের রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) ও ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৩)। 

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।