শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাঁতী লীগ নেতার মামলা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে অর্থ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আটক সাবেক ৫ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জালালাবাদ থানায় সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাত লায়েক আহমদ এই মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে ‘অবৈধ জনতা পথরোধ করে জোরপূর্বক চাঁদাদাবি, চাঁদা আদায়, অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণসহ ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন, ক্ষতিসাধন ও সহায়তার’ অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ছাড়া মামলায় এক লাখ টাকা ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে: এসএমপি কমিশনার

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই আবু খালেদ মামুন জানান, পাঁচ জনকে এজাহারনামীয় করা হয়েছে, যাদেরকে সিআইডি পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া মামলায় আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক আহমদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করে সিআইডি। পরে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে তাদেরকে সিলেট নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নূর মুইন (৩১), এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও ফয়সল আহমেদ (২৭)।

তাদের মধ্যে হাবিবুর শাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর ও নাজমুস সাকিব।

আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবি শিক্ষার্থীরা

এদিকে বুধবার সকালে ১০টা ২১ মিনিটে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন শাবি শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ক্যাম্পাসে অনশন চলছিল।

ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক। তারা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা সকালে পানি পান করে একযোগে অনশন ভাঙেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক শাবির পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর মুক্তির আশ্বাস দেন ড. জাফর ইকবাল।