চুরি যাওয়া জালের খোঁজ করায় জেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সুখাইড় গ্রামের কুইছহাটি এলাকায় তপন দাস নামের এক যুবককে গাছ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পেশায় জেলে ওই যুবককে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে। 

নির্যাতনের শিকার তপনের স্বজনরা জানান, বাড়ির পাশে হাওর থেকে তপন দাসের মাছ ধরার জাল চুরি হয়। চুরির বিষয়টি জানানোর জন্য তপন দাস বাবুল মিয়ার বাড়িতে গেলে বাবুল মিয়ার লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। 

আহত তপন দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাওর থেকে মাছ ধরার জাল চুরি হয়। শুক্রবার জাল তোলার সময় নির্ধারিত জায়গায় মাছ ধরার জাল পাইনি। পরে বিকালে কুইছহাটির বাবুল মিয়ার বাড়িতে জালের খোঁজ নিতে যাই। এসময়  সফদর আলীর ছেলে বাবুল মিয়ার লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে বাবুল মিয়া, সাহেব নূর মিয়া, কাসেম আলাল, ইছবসহ তার লোকজন আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে। 

এ ঘটনার পরে তিনি ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। কয়েক ঘণ্টার টানা মারধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

তপনের ভাই সুনীল দাস বলেন, তার ভাইকে অন্যায়ভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। 

অভিযুক্ত হেলাল মিয়া দাবি করেন, আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এসবের সঙ্গে আমি বা আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয়। 

ইউপি চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দীপা বলেন, ঘটনাটি আজ রাতে শুনেছি। ভিকটিম তপন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। তপন দাসের মাছ ধরার জাল  হাওর থেকে চুরি হয়। সে জালের খোঁজ নিতে হেলাল ও বাবুলের বাড়িতে  যায়। তখন তাকে বাবুল ও হেলালের লোকজন গাছে বেঁধে মারধর করে। নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।