সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বাকিতে গরুর মাংস বিক্রি না করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘিরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ছয় জনকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রবিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার ঘিরইল গ্রামের বাসিন্দা শামীমসহ কয়েকজন মিলে গ্রামের এক বাড়ির উঠানে গরুর মাংস বিক্রির জন্য একটি ষাঁড় জবাই করেন। এ সময় একই গ্রামের বাসিন্দা হেলিম মিয়া বাকিতে মাংস নিতে চাইলে শামীম ও তার লোকজন এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিস বসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘিরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শামীম ও হেলিম পক্ষের লোকজনদের মধ্যে গরুর মাংস বাকিতে না দেওয়ার ঘটনা নিয়ে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আল আমিন (৪০), জাহাঙ্গীর (২০), আশরাফুল (৩৫), হাফিজ উদ্দিন (২৫), অনি মিয়া (২৪), হারুন (৬০), করম আলী (৬০), নুর নবীসহ (৪০) ১৫ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আল আমিন ও জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হওয়ায় ময়মনসিংহ হাসপাতাল এবং ছয় জনকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘বাকিতে গরুর মাংস বিক্রি না করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ দেয়নি কোনও পক্ষ। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’