সুরমা নদীতে নৌকাডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার 

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় সুরমা নদীতে বালুবোঝাই নৌকার সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ হেলাল মিয়া (২২) নামে এক মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সুরমা নদীর তলদেশ থেকে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় এখনও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন।

হেলাল মিয়া জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের সেরমস্তপুর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে। নিখোঁজরা হলেন—উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের সেরমস্তপুর গ্রামের রমজান মিয়ার পুত্র টুনাই মিয়া (৫০) ও দিরাই উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের এনাম মিয়া (২০)।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সুরমা নদীতে জামালগঞ্জ থেকে গজারিয়াগামী একটি বালুবোঝাই নৌকার সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এতে বালুবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় থাকা ছয় মাঝির মধ্যে তিন জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিন জন নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে আজ বিকালে হেলাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জামালগঞ্জ উপজেলার লালপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, সুরমা নদীতে পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাল্কহেডের চার মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ। বালুবোঝাই নৌকার দুই মাঝি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। 

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিউটন দাশ তালুকদার জানান, সুরমা নদীর যেখানে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে, সেই জায়গাটি খুব গভীর। তাই উদ্ধার অভিযান চালাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে।  ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যসহ দুই জন ডুবুরি অভিযানে অংশ নিয়েছেন।