এক কেন্দ্রেই বিক্রি হলো ৫ কোটি টাকার চা 

দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১২তম চায়ের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী নিলামে কেদারপুর বাগানের চা পাতা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৩৬৮ টাকা। এছাড়া নিলামে মোট দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৫ দশমিক ৯০ কেজি চা পাতা পাঁচ কোটি ২৭ লাখ সাত হাজার ১৮০ টাকা বিক্রি হয়। নিলামে শ্রীমঙ্গলের চারটি ও চট্টগ্রামের ছয়টি হাউজের মাধ্যমে চা বিক্রি হয়। 

শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী অফিস জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে অনুষ্ঠিত নিলামে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন বায়ার অংশ নেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর ৮০ হাজার ৫২৪ দশমিক ৪০ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে এবং বিক্রি হয় ৪০ হাজার ৩০৭ দশমিক ৬০ কেজি। যার বাজারমূল্য ছিল ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯০ টাকা।

শ্রীমঙ্গল চা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চেরাগ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিলামে সব বাগানের চা এলে বেশি বায়ার অংশ নেন। বিশেষ করে নিয়মিত চট্টগ্রামের ব্রোকাররা এলে ভালো চা পাতা পাওয়া যায় এবং বায়াররা চা পাতা কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রূপসী বাংলা ব্রোকার হাউজের চেয়ারম্যান এস এম এন ইসলাম (সৈয়দ মুনির) বলেন, ‘চট্টগ্রামের বায়াররা এই নিলামে এসে শুধু চা পাতা বিক্রি করেন, চা কিনছেন না। শ্রীমঙ্গলের বায়ররা তাদের থেকে চা পাতা কিনছেন। আশাবাদী ভবিষ্যতে এই নিলাম কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সেরা নিলাম কেন্দ্র হবে।’

জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে চায়ের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্র যাত্রা করে ২০১৮ সালের ১৪ মে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে এই নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম। তবে নানা কারণে এই নিলাম চাঙা হচ্ছে না। যে কারণে শ্রীমঙ্গলের অধিকাংশ ব্রোকার হাউজের মালিকরা গোপনে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩ দিন চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৭টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ছয়টি নিলাম হবে।