আতিয়া মহলে জঙ্গি কার্যক্রমের মামলার শুনানি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে জঙ্গি কার্যক্রমের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে শুনানি হয়েছে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মাদ নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে বেলা সাড়ে ১১টায় এই শুনানি হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানিতে জেএমবি সদস্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারীর নুরুল আলমের ছেলে জহুরুল হক জসিম (২৯), নুর হোসেনের ছেলে মো. হাসান (২৮) ও জহরুল হক জসিমের স্ত্রী মোছা. আর্জিনা বেগম রাজিয়া (২১) আদালতের এজলাসে হাজির ছিলেন। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আহমদ। তিনি জানান, আতিয়া মহলের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আদালতে নারী জঙ্গিসহ তিন জন উপস্থিত ছিলেন। মামলার শুনানির জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ দিবাগত রাত থেকে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ, সিআরটির পর সর্বশেষ যোগ দিয়েছিল সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল। টানা ১১১ ঘণ্টা অভিযান চলে আতিয়া মহলে। সেনাবাহিনীর অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন টোয়ালাইট’। অভিযান শেষে মহল থেকে চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী ও তিন জন পুরুষ ছিলেন।

এদিকে, অভিযান চলাকালে আতিয়া মহল থেকে খানিক দূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট সাত জন নিহত হন।

মহলটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে মামলা হয় তিনটি। প্রথমে পুলিশ মামলার তদন্ত করে। পরে তা স্থানান্তর হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। এতে জহুরুল হক, তার স্ত্রী আর্জিনা বেগম ও মো. হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২০১৭ সালে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।