ছাত্রলীগকর্মী আরিফ হত্যায় কাউন্সিলরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদ (১৯) হত্যার ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আরও চার-পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে আরিফ আহমদের মা আখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় এ হত্যা মামলা করেন। মামলায় হত্যাকাণ্ডের পর গত সোমবার রাতে আটক হওয়া দুই জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন আনহাছ আহমদ ওরফে রনি (২৩) ও মামুন মজুমদার (৩২)। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হিরণ মাহমুদের পক্ষের হয়ে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত আরিফ পদে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, নিহত আরিফ আহমদের মা হত্যার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরিফের মা আখি বেগম বলেন, ছেলেকে হত্যার ঘটনায় কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদকে প্রধান আসামি করেছি। তার সহযোগিতায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচর টিভিগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। তাকে উদ্ধার করে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে মৃত্যু হয়।