দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙার পথ খুঁজছি: কৃষিমন্ত্রী

দেশে ফসলের উৎপাদন বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘এই সিন্ডিকেট কোন পদ্ধতিতে ভাঙা যায়, সেই পথ ও সুযোগ খুঁজছি। সেইসঙ্গে কৃষকদের উন্নতির জন্য যা যা করার দরকার, সবই করবো।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে আপনাদের সেবা করতে পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব এবং মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। এজন্য কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। আমাদের জিডিপির শতকরা ৮০ ভাগ কৃষি থেকে আসে। জিডিপির গ্রোথ বাড়াতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এখন কোনও উপকরণের অভাব নেই। আমি মন্ত্রণালয়ে চার-পাঁচ দিন কাজ করেছি। বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও সচিবকে বলেছি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেসব কৃষক ফসল ফলায়, সেটি যেন শতভাগ বিক্রি করতে পারে। ন্যায্যমূল্য যাতে নিশ্চিত হয়, সে পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে সফলতা আসবে।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব ভেবুলের সভাপতিত্বে সংর্বধনা অুনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ প্রমুখ।  

শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পরিচালনায় আপনারাই হবেন বড় হাতিয়ার। আপনাদের পরামর্শের বাইরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগে করিনি। তবে এবার করবো। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের বিধিবিধানের ভেতরে থেকে সবকিছু করতে হবে আমাকে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যা যা করার দরকার, তা আমরা করবো। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে।’