‘সন্তানের জন্য বাবা প্রশ্ন ফাঁসে উদ্যোগী হলে তা আমাদের বিচলিত করে’

বাবা যখন সন্তানের প্রশ্ন ফাঁসের জন্য উদ্যোগী হন তা আমাদের অবশ্যই বিচলিত করে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রবিবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুদক কর্মকর্তারা ‘শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানিক টিম’ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী (ফাইল ছবি)দুদক কর্মকর্তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের এই প্রতিবেদন সময়োপযোগী, আমরা খুশি কারণ এর অধিকাংশ সুপারিশই আমাদের নজরে রয়েছে। এই সমস্যগুলো আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে দূর করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা; যারা সততা, নিষ্ঠা, ন্যায় এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত থাকবে। আমাদের সমাজে অনৈতিকতা রয়েছে, বাবা যখন সন্তানের প্রশ্ন ফাঁসের জন্য উদ্যোগী হন তা আমাদের অবশ্যই বিচলিত করে।’

শিক্ষার মান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষিত জাতি গঠন করতে হলে প্রথমত সকল শিশুদের বিদ্যালয়ে আনাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি। এখন দেশের প্রায় ৯৯.৪৭ ভাগ শিশু বিদ্যালয়ে নাম লেখাচ্ছে। তাছাড়া প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, এমপিওভুক্ত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, সৈয়দ ইকবাল হোসেন উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। 

আরও পড়ুন: দুদকের শিক্ষা সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মন্ত্রীকে উপস্থাপন