শতবর্ষপূর্তি দিবস উদযাপনের প্রতীকী অনুষ্ঠান শুরু

জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

আজ ১লা জুলাই (বৃহস্পতিবার) মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসটির প্রতীকী কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রতীকী কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, "জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চলমান নভেল করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে মূল অনুষ্ঠানের অগ্রবর্তী অনুষ্ঠান হিসেবে দিবসটিকে আজ (১ জুলাই) প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করতে হচ্ছে।"

কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপাচার্য বলেন, আজ বিকাল ৪টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল বক্তা হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী আবদুল গাফ্‌ফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ফিরে দেখা' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

উপাচার্য আরও বলেন, "শতবর্ষের বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ মূল অনুষ্ঠান আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।"

দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য কার্জন হল প্রাঙ্গনে একটি নারিকেল গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে "শত বৃক্ষরোপণ" কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।