অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে কওমি মাদ্রাসায়ও

দেশের সাধারণ প্রতিষ্ঠানের মতো কওমি মাদ্রাসাগুলোতেও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা।

কওমি মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাজধানীর কওমি মাদ্রাসাগুলোতে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও ঢাকার বাইরে তা কম। আর কওমি মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে মাদানি নেসাবের (আরবি কারিকুলাম-প্রধান) প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ কওমি মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এ সুবিধা চালু হয়েছে।

হাজারীবাগ বায়তুর রসূল মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী জানান, প্রথম বর্ষ থেকে পঞ্চম বর্ষ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। প্রতি ২৫ জনে একটি গ্রুপে ক্লাস হয়। ছাত্রসংখ্যা হিসাবে একাধিক সেশন হয়।

ওই মাদ্রাসার প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র বলেন, সকাল ৬টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। এরমধ্যে আধাঘণ্টার বিরতি থাকে। এরপর আবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ক্লাস হয়।

রাজধানীর আজিমপুর ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি লুৎফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশের কওমি মাদ্রাসায় এখনও পূর্ণাঙ্গরূপে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়নি। রাজধানীতে বিশেষ করে মোহাম্মদপুর, কেরাণীগঞ্জ ও লালবাগসহ কিছু এলাকার মাদ্রাসায় মাদানি নেসাবে এটা শুরু হয়েছে।’

আর নেটওয়ার্ক, স্মার্টফোনের সুবিধা সবার না থাকার কারণে অধিকাংশ মাদ্রাসাতেই অনলাইন ক্লাস চালু করা সম্ভব হয়নি, বলে জানান লুৎফুর রহমান।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা মাওলানা মুসলেহউদ্দিন রাজু বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার এখনও মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দেয়নি। তাই হয়তো অনলাইনে যাদের সুবিধা আছে, তারা করছে। এ বিষয়ে এখনও বোর্ড থেকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করি, আগামী দিনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নীতিনির্ধারকরা।’