সিডনিতে এক টুকরো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল। ছবি ফকরউদ্দীন জুয়েলশনিবার বিকালে প্রাণের উৎসবে মেতে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি নগরী। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজির হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশির পদচারণায় শহরটির ব্যাংকসটাউনের পল কেটিং পার্কই যেন হয়ে গেলো এক টুকরো বাংলাদেশ। দেশের সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়াসে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল। এর আয়োজক প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি। 

এতে অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় ও বাংলাদেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনা ছিল মুগ্ধকর। অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী, এমপি, মেয়র থেকে শুরু করে স্থানীয় বিশিষ্টজনরা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের সাফল্য জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের সেই ধারণকৃত বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।
এরপর স্থানীয়দের পরিবেশনায় মুগ্ধ হন দর্শকরা। সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী রুমেন কর্মকার, নৃত্যনাট্য ও দেশি সংগীতের সুর-তালের ওপর নাচ পরিবেশন করে দর্শক মাতিয়ে তোলে স্থানীয় শিশুশিল্পীরা। সুমাইয়া, নাবিলার একক সংগীতের মধ্যদিয়ে দর্শকদের মধ্যে কিছুটা উচ্ছ্বাস ছড়ায়। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তমাও গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের। এরপর ছিল প্রবাসী বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলীয় মডেলদের ফ্যাশন শো। অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোমের দেশীয় গানের পরিবেশনায় দর্শক মোহিত হন। ছিল স্থানীয় ব্যান্ড স্পর্শ-এর গান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী সাঈদ ও ক্লোজআপ তারকা রন্টি দাশের পরিবেশনা ছিল। প্রাণের এই উৎসব মূলত পরিপূর্ণতা পায় এই দুই শিল্পীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায়। ছোট-বড় সব ধরনের দর্শক নেচে-গেয়ে পুরো মঞ্চের আশেপাশে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেন। মেলার চারপাশে চটপটি, ফুসকা, দেশীয় শাড়ি-পোশাক, গহনায় বাহারি সাজে সেজেছিল স্টলগুলো। মেলাতে এসে অনেকে দেশীয় পণ্য কেনাকাটা করতে ভালেননি।