২০ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই ব্যান্ড মাইলসের প্রতি নিজের নিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনটির উদ্দেশ্য ছিল, মাইলস বিতর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরা। আয়োজনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আসলে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের জন্য এখানে আসা নয়। পত্রিকায় আমি অনেকগুলো সাক্ষাৎকার পড়েছি। কোনও কোনও গণমাধ্যমের মানুষদের তারা প্র্যাকটিস প্যাডে নিয়ে গিয়ে খুব মজা করে কথা বলেছেন। আমাকে ছোট করেছেন। অনেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এতে আমি ছোট হয়েছি। আর মিডিয়াতে আমার উপস্থিতি খুবই কম। এতগুলো সাক্ষাৎকার একপক্ষ থেকে যাওয়ার ফলে, আজকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার। আর সে কারণেই এ সংবাদ সম্মেলন। এর পাল্টাপাল্টি কী হবে আমি জানি না।’
মিথ্যা কথা বলেছেন হামিন আহমেদ:
আমি দেখতে পারছি, হামিন আহমেদ কোনও হোম ওয়ার্ক করে পত্রিকায় কথাগুলো বলেননি। তারপরও অন্যেরা তাকে দিয়ে যা বলাচ্ছেন, তিনি তা দিয়ে পাবলিকের সামনে মিথ্যাচার করে আসছেন। দেখুন মিথ্যার আশ্রয় কীভাবে নিচ্ছেন তারা এবং বিপদে পড়লে মানুষ আসলে তা-ই করেন।
হামিন-মানাম সময়ই দিত না:
এই মানাম একসময় বলেছেন, ব্যান্ডের প্র্যাকটিসে আসাটাই তার জন্য লস। তার নাকি হাতে এত কাজ! সে আজ ব্যান্ড নিয়ে এত কথা বলছে। অনিয়মিত ছিলেন মানাম ও হামিন। তাদের টেনে আনতে হয়েছে আমাকে। কারণ প্রডিউসারের কাছে আমি কমিটেড ছিলাম।
কমিটমেন্ট ভঙ্গ:
আমার ও হামিনের জয়েনের তিন বছর পর ১৯৮২ সালে মানাম মাইলসে জয়েন করে। আমাদের ধানমন্ডির বাসায় তখন আমি দিনের পর দিন ইংরেজি গানের সব কর্ড তুলে দিতাম। কর্ড শিখিয়েছি। সুতরাং আমাকে কেউ এগিয়ে দেয়নি। আমার যোগ্যতা সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মাইলস যদি নাও থাকত, শাফিন আহমেদ সফল হতো। হামিন আহমেদ আমাকে অনিয়মিত বলেন। কিন্তু কমিটমেন্ট ভঙ্গ করেছেন উনি, বারংবার।
গান নিয়ে মিথ্যা তথ্য:
হামিন বলেছেন, শাফিন আহমেদ যত গান গেয়েছেন তার অধিকাংশ মানামের সুর করা। সঠিক তথ্য না থাকলে ধরে নিতে হবে শুধু আমাকে ছোট করাই উদ্দেশ্য। মাইলসের বাণিজ্যিকভাবে গান ৮৪টি। তার মধ্যে ৪৬টি গান আমার গাওয়া। এই গানের মধ্যে ১৩টি গান মানাম আহমেদের সুর করা। সেটা কি মেজরিটি হলো? তাহলে কীভাবে হামিন আহমেদের কথা সত্য।
যখন মাইলসের কোনও সদস্য এটা চিন্তাও করেনি, তখন এটা আমার হাতে করা। আমি ওপেন মাইন্ডের। সবাইকে অ্যাডমিন করে রেখেছিলাম। এ ঘটনার সূত্রপাত যেদিন থেকে, মানে সেপ্টেম্বরে দেখলাম আমি এডিটর! যে ধরনের নোংরামি আমি চিন্তাও করিনি। তাই দেখলাম। তার কয়েক সপ্তাহ পর আমি হয়ে গেলাম অ্যানালাইজার! এর কাজটা আপনারা সবাই জানেন। মানে আমি শুধু দেখব। আমার কোনও ক্ষমতা থাকবে না। তারপর আমি এখন ব্লক। চিন্তা করেন, আমার ভাই যেখানে আছে, সেখানে আমি ব্লক!
কৃতিত্ব না দেওয়া যায়:
সুর করলেই যদি কৃতিত্ব নেওয়া যায়, তাহলে আপনিও তো আপনার সুরে গান গেয়েছেন মানাম আহমেদ, কোথায় আপনার সফলতা? এখানে শাফিন আহমেদকে ছোট করার চেষ্টা করবেন না। শাফিন আহমেদের কিছু গুন আছে, যার ফলেই তিনি উঠে এসেছেন।
‘মাইলস’ আসলে কার, কে নামটি ব্যবহার করবে- এমন প্রশ্নে সংক্ষেপে তিনি বলেন, না আমি ছাড়া অন্যরা কেউ এই নাম ব্যবহার করতে পারবে না।