সিরিয়ার সেই ছেলেটিকে নিয়ে কবীর সুমন-আসিফের গান

ভিডিওতে কবীর সুমন ও আসিফ আকবরআমি আল্লাহর কাছে সব বলে দেবো—এই বলে অসম্ভব অভিমান নিয়ে মরে গিয়েছিল বোমায় আহত ৩ বছর বয়সী এক সিরীয় শিশু। বিষয়টি ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে যায় বিশ্বকে। যা দাগ কেটে গিয়েছিল বিষয়ভিত্তিক গানের অন্যতম গায়ক কবীর সুমনকেও।

শিশুর বলে যাওয়া সেই বাক্যকে ধরে গান বেঁধেছেন সুমন। যা কণ্ঠে তুলেছেন আসিফ আকবর। এটিই নয়, তিন-তিনটি গান তারা একসঙ্গে তৈরি করছেন। যার প্রথম কিস্তি হলো ‘সিরিয়ার ছেলে’। এটির কথা-সুর সুমনের। আর সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন। যা প্রকাশ পেয়েছে আসিফের ইউটিউব চ্যানেলে, ২১ জুলাই। গানটির ভিডিওতে অন্যতম দিক, বাংলা গানটিকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ইংরেজি ও আরবি সাবটাইটেল ব্যবহার করা হয়েছে।
এ গানটি করার আগে একদমই চিন-পরিচয় ছিল না তাদের সুমন-আসিফের।
গানটির প্রকাশ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় সুমন বলেন, ‘গত ১৬ মার্চ ৭১ পূর্ণ হয়েছে। ৭২ পার করছি। আমার এক নবীন বন্ধু আছেন বাংলাদেশে। নাম মীর আরিফ বিল্লাহ। গান-বাজনা নিয়ে তার আগ্রহ প্রচুর। সে কিছু দিন আগে আমাকে বলেন, বাংলাদেশে এক গায়ক আছেন। তার নাম আসিফ আকবর। দেশভর্তি তার শ্রোতা। তিনি কিছুটা নাকি আমার মতোই। কাউকে পরোয়া করেন না। নিজের মেজাজ-মর্জি অনুযায়ী চলেন। ভয়ডর নেই। এজন্য আমার মতোই তাকে হেনস্তা হতে হয়। এটাই বোধহয় মিল। এভাবেই আসিফ আকবরের সঙ্গে পরিচয়। এরপর ইউটিউবে তার গান শুনি। তার কণ্ঠ ও ব্যক্তিত্ব আমার পছন্দ হয়েছে।’
নতুন গানটি প্রসঙ্গে সুমন বলেন, ‘‘আসিফ আকবরের জন্য খান তিন-চার গান তৈরি করেছি। যার প্রথম কিস্তি হলো ‌‘সিরিয়ার ছেলে’। এটি একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে। সিরিয়ার এক শিশু মৃত্যুর আগে বলেছিল, আমি কিন্তু আল্লাহকে সব বলে দেবো! হয়তো সে বলেছেও। তার জন্যই হয়তো পৃথিবীতে এমন দুর্যোগ। গানটি অসামান্য গেয়েছেন আসিফ। যন্ত্রশিল্পীরা অসাধারণ বাজিয়েছেন। এগুলো শুনলে বোঝা যায়, সংগীতে বাংলাদেশ কতটা এগিয়ে গেছে।’’
এদিকে সুমনের এমন দুহাত উজাড় করা প্রশংসায় ‘ধন্যবাদ’ জানাতে কার্পণ্য করেননি আসিফ। ভিডিও শেয়ার করে নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘জীবনে এর চেয়ে বেশি কিছু লাগে না। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় অগ্রজ কবীর সুমন দাদা। কৃতজ্ঞতা।’
সিরিয়ার ছেলে: