চলে যাওয়ার ১ বছর

সুশান্ত যা বলে গেছেন

সিনেমার সেটে সবার সঙ্গেই হয়ে যেত দারুণ সম্পর্ক। নিজের ভেতরের শিশুটাকে কখনও বাড়তেই দেননি। আবার বই পড়া থেকে শুরু করে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা- সিনেমায় কাজ করলে ব্যক্তিত্বটা কেমন হতে হয় সেটাও অনেকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। আর তাই সময়ে সময়ে তার মুখ দিয়ে শোনা গেছে কিছু ভারিক্কি কথাও-

আমি সেসব নারীদের একদমই পছন্দ করি না যারা অতিরিক্ত মেকআপ চড়ায়। এটা তাদের আসল সৌন্দর্যটাই ঢেকে দেয়।

 

যা-ই অর্জন করো না কেন, বা জীবনে যেটাই হতে চাও না কেন। কিন্তু যত খ্যাতিমান, ক্ষমতাবানও হও না কেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তুমি যে কাজটা করছো ও তোমার আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত তুমি উপভোগ করছো কিনা।

 

যে স্বপ্নটাই দেখে থাকো না কেন, নিশ্চিত করো যে ওটা ঘটবেই। এরপর সেই স্বপ্নের কথা ভুলে যাও। বাস্তবে ফিরে আসো। বাস্তবে এক শ’ বাস করো।

 

যদি কোনও কিছু প্রথমবারের মতো দেখে থাকো, তবে তোমার প্রথম প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে যেন মুগ্ধতাও থাকে।

 

অভিনেতা হিসেবে আপনি হয়তো আপনার শিল্পটাকে চেনেন, চরিত্রের দ্বন্দ্বগুলোও জানেন। তবে এটাও ঠিক যে, মাঝে মাঝে আপনি তা ধরতে পারেন না।

 

আমার মনে হয়, অনেকেই ভাবে যে সে পথ হারিয়েছে। যেহেতু তারা ভাবতে থাকে যে, কী হতে চলেছে বা তারা কী কী করেছে। তারা আসলে আর বেঁচে নেই। কোনও কিছু শোনা যে একটা শিল্প, সেটা হারিয়ে গেছে। তারা সবসময়ই তাদের মাথার ভেতর অন্য কিছু করছে।

 

সুখের সবচেয়ে কাছাকাছি প্রতিশব্দ হলো উত্তেজনা। আর সেটা তৈরি করতে আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা সচরাচর আপনার নাগালের কিছুটা বাইরে। আর এটা বুঝতে পারলেই পুরো ব্যাপারটা হয়ে উঠবে বেশ দামি ও চমৎকার।

 

জীবনে অনেক ভুল করেছি। আর সবগুলোর কারণে আমি গর্বিত।

 

আমার কাছে সুখের বিপরীত শব্দ দুঃখ নয়। ওটা হলো একঘেয়েমি।

 

আমি নিজেকে সিরিয়াসলি নেওয়া ছেড়ে দিয়েছি। কারণ আমি এখন বুঝতে পেরেছি আমার চিন্তাগুলো কত দ্রুত বদলায়।