চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্যাতন-ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। একের পর এক বের হচ্ছে নতুন তথ্য। শুধু দেশেই নয়, ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এটি নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাগুলো পরীমণিকে নিয়ে দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক আপডেট।
ভারতে জি-২৪ ঘণ্টায় পরীমণির ঘটনায় দুটি খবর প্রকাশ করেছে। ‘নারীর সম্মান, ধর্ষণের অভিযোগ, হাসিনার সাহায্যপ্রার্থী-পরীমণিকে ঘিরে কৌতূহল’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার ক্লাবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এই নায়িকা। দেশের সীমানা পার করে আন্তর্জাতিক তারকাদেরও পাশে পেয়েছেন তিনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দৈনিক এই সময় লিখেছে ‘পরীমণি সাহসী অভিনেত্রী, তাই ধর্ষণ জাস্টিফায়েড?’
কলকাতা ২৪/৭ উল্লেখ করে, ‘পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টায় চার যুবতীর ভূমিকা বিশ্লেষণে ঢাকা পুলিশ’। ভেতরে তারা লেখে, ‘বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ও মডেল পরীমণি অভিজাত ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। পরীমণির সেই ফেসবুক পোস্ট কলকাতাতেও আলোড়ন ফেলে দেয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয়।’
পরীমণির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরদিনই সংবাদ ছাপা হয় প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা পরীর স্ট্যাটাসটি উপজীব্য করে এটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তারা উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাটি বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি। সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি দেন। তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে। অভিযুক্তকে পরী ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না বলেও দাবি করেছেন।’
আজতক-এ শিরোনাম হয়েছে ‘পরীমণি ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় ৬ অভিযুক্ত গ্রেফতার, কৃতজ্ঞ নায়িকা’।
হিন্দুস্তান টাইমস প্রথম দিন লেখে, ‘‘খুন ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অভিনেত্রী পরীমণির।’’ আর আজ তারা ছেপেছে, ‘পরীমণির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ! ফের শোরগোল নায়িকাকে ঘিরে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছেন। সেদিন রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে জানান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও অমির নাম। ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে এটি ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন পরীমণি। সে অনুযায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা বেশিরভাগই গ্রেফতার হয়েছেন।