পরীমনি। কাজের চেয়ে বেশি সময় কাটান আনন্দে। তার সকল পরিকল্পনাই যেন আনন্দ উদযাপনের তরে নিবেদিত! ফাঁকে সময় পেলে শুটিং বিষয়ে ভাবেন অথবা করেন। এটাও সত্যি, শুটিং ইউনিটকেও তিনি আনন্দ উদযাপনের ভেন্যু তৈরি করে ফেলেন।
সাম্প্রতিক ঈদ-উৎসবে পরীকে পাওয়া যায় পিরোজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে নানাবাড়িতে, গাছের ডালে অথবা পুকুরে জলকেলিতে। অথচ এই পরীই ক’বছর আগেও ঈদুল আজহায় গরু জবাই করে দিনভর বিলি করতেন এফডিসিতে। তেমন নজির বিএফডিসির ইতিহাসে খুব একটা ঘটেনি আগে, যেমনটা কয়েক বছর ঘটিয়েছিলেন পরী। পরে নানাবিধ অসহযোগিতার চাপে এফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার ট্রেন্ড থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেন পরী। এরমধ্যে ঘটে তার জীবনের অনেকগুলো ঘটনা। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, সন্তান, জেল, নানাকে হারানো ইত্যাদি। সব ছাপিয়ে পরীমনির সাম্প্রতিক ঈদগুলো কাটে নানাবাড়িতে। যেমনটা কেটেছে এবারও। প্রায় প্রতিদিনই গ্রামের নানান চিত্র উঠে আসে পরীর ছবি ও ভিডিওতে। যেখান থেকে অভিনব এক নতুন উদ্যোগের কথা জানা গেলো এবার। পরী জানান, শিগগিরই নানাবাড়ির ছোট্ট পুকুরটাতে তিনি গড়ে তুলবেন আস্ত একটা কাচের বাড়ি! যে পুকুরটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরীর শৈশব। সেই পুকুরে ডুবসাঁতার দিতে দিতেই কাচের বাড়ি গড়ার তথ্যটি জানালেন পরী।
পুকুরে জলকেলিরত একটি ভিডিও শেয়ার করে পরীমনি লিখেছেন, ‘এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। কয়েকদিন পর এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাচের বাড়ি বানাবো, ইনশাআল্লাহ।’
পরীর এমন ঘোষণায় তার ফেসবুক অনুরাগীরা মোটামুটি গবেষণায় নেমে পড়েছেন। কারণ, পুকুরের উপর কাচের বাড়ি বানানোর আইডিয়া একেবারেই নতুন মনে করছেন তারা। যেন সেই বাড়িটি দেখার জন্য তর সইছে না পরীপ্রিয়দের। পরী এখন ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে দুই সন্তান নিয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। আদালতে হাজিরা দেয়ার বাইরে সিনেমার নতুন কোনও খবরে আপাতত নেই তিনি।