পটারভক্তদের জন্য এক জাদুকরি গল্প

‘ফ্রেন্ডস’ ও ‘দ্য ওয়েস্ট উইং’ রি-ইউনিয়নের পর এইচবিও ম্যাক্স হাজির হলো ‘হ্যারি পটার’-এর রি-ইউনিয়ন নিয়ে। ১ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘হ্যারি পটার: রিটার্ন টু হগওয়ার্টস’ দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ পটারভক্ত ওরফে পটারহেড।

২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন’। ২০২১ সালে ২০ বছরে পা দিয়েছে সিরিজটি। দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে এইচবিও ম্যাক্স ছবির কলাকুশলীদের একত্রিত করেছে ‘হ্যারি পটারের ২০তম অ্যানিভার্সারি: রিটার্ন টু হগওয়ার্টস’-এ। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিতে অংশ নিয়েছেন ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ, এমা ওয়াটসন ও রুপার্ট গ্রিন্ট, যারা যথাক্রমে হ্যারি পটার, রোনাল্ড উইজলি এবং হারমায়োনি গ্রেঞ্জার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে ছিলেন আরও একঝাঁক তারকা, যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সিরিজে ছিলেন।

পুরো প্রামাণ্যচিত্রটি চার ভাগে ভাগ করা। প্রতিটি ভাগে দুটি করে সিনেমা নিয়ে কলাকুশলীরা তাদের স্মৃতিরোমন্থন করেন। কথায় কথায় চলে আসে হারমায়োনি এবং রনের প্রথম চুম্বনের ঘটনা। ওই ফুটেজ ধারণ করার জন্য পরিচালককে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কারণ যতবারই তিনি অ্যাকশন বলছিলেন ততবারই হাসির রোল পড়ে যাচ্ছিল চারদিকে!

কথায় কথায় জানা গেলো, নিজেকে ভুতুড়ে গুণের অধিকারী মনে করেন, এমন কাউকেই পটার চরিত্রে খুঁজছিলেন পরিচালক ক্রিস কলম্বাস।

টম ফেল্টন, যিনি ডর‌্যাকো ম্যালফয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তিনি দর্শকদের সঙ্গে শুটিং সেটে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতা জানান। একটি হলো, গল্পের বইয়ের পাতা থেকে পর্দায় হারমায়োনি আর ডর‌্যাকোর মধ্যে শীতলযুদ্ধ ঘটলেও বাস্তবে একে-অপরের ‘ক্রাশ’ ছিলেন তারা! আবার এমা ওয়াটসন বলেছেন এই সিনেমার খ্যাতি তার ওপর এত চাপ সৃষ্টি করেছিল যে তিনি মাঝপথে ছবির কাজ বাদ দিতে চেয়েছিলেন।

ডকুমেন্টারির শেষের দিকে যখন মারা যাওয়া কলাকুশলীদের নাম দেখানো হচ্ছিল, তখন ভক্তরা বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে যান। অ্যালান রিকম্যানের করা সেভেরাস স্নেইপ এমন এক চরিত্র, যার আবেদন কোনোদিন ফুরাবে না। তবে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না স্বয়ং হ্যারি পটারের লেখিকা জে কে রাউলিং। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে লেখককে আমন্ত্রণ জানায়নি এইচবিও।

সূত্র: সিএনএন