চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন ২০২২

জনপ্রিয়তায় সর্বোচ্চ ফেরদৌস, হতাশ করলেন পরীমণি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব সাজছে নতুনভাবে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে ঘোষিত ফলে সমিতির নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। বিস্ময় জাগিয়ে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তৃতীয়বারের মতো একই পদে অধীন থাকছেন।

অন্যদিকে, ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে সবাইকে টপকে শীর্ষে রয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। কার্যকরী সদস্য হিসেবে তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৪০ ভোট। অথচ তারই বন্ধু নায়ক রিয়াজ কেঁদে-কেটেও পাশমার্ক তুলতে পারেননি।

এমন জনপ্রিয়তা ধরে রাখার রহস্য সম্পর্কে ফেরদৌস বেশ ডিপ্লোম্যাটিক। বললেন, ‌‌‘দিনশেষে আমরা সবাই এক। এটা ছিল উৎসব। আমরা তাতে সামিল হয়েছি মাত্র। তবে আমার বন্ধু-সতীর্থরা যে আমাকে এতোটা ভালোবাসে, সেটা এই নির্বাচন না হলে টেরই পেতাম না। আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি।’  

এদিকে ফেরদৌসের এমন বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার বিপরীতে পুরোটাই হতাশ করেছেন আরেক আলোচিত প্রার্থী পরীমণি। গত কয়েক বছর ধরে দুস্থ শিল্পীদের জন্য কোরবানিসহ নানা কাজ করেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৭৯ ভোট। 

অথচ চলতি নির্বাচনে তাকেই ট্রাম্প কার্ড ভেবেছেন অনেকে। আর ইলিয়াস-নিপুণ প্যানেলে তার অন্তর্ভুক্তিও ছিল বড় চমক। কিন্তু ভোটের মাঠে তিনি পুরোটাই ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও তার ভাষ্যতে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তি, ‘আমি তো ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এমনকি নিজেও ভোট দিতে যাইনি। মাস্কহীন এই করোনাময় পরিবেশে যাওয়ার আগ্রহ পাইনি। ফলে আমি যে ৭৯ ভোট পেয়েছি সেটাই তো বড় বিস্ময়! আপনাদেরও বিস্মিত হওয়া উচিত।’

জানা যায়, এবার সমিতির ভোটার সংখ্যা ৪২৮ জন। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। বাতিল ১০ ভোট। ৩৫৫ ভোট বৈধ।

দ্বিবার্ষিক (২০২২-২৪) মেয়াদের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন ভোট পেয়েছেন ১৯১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেলেন ১৪৮ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান পেলেন ১৭৬ ভোট। একই পদের দাঁড়িয়ে নিপুণ পেলেন ১৬৩ ভোট।
 
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নির্বাচনের পর শনিবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে এই ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। তিনি জানান, কোনও প্রার্থীর এই ফলাফল নিয়ে অভিযোগ থাকলে শনিবারের (২৯ জানুয়ারি) মধ্যে আপিল করতে পারবেন। সেটি না হলে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে কমিশন।