আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার কোর্টইয়ার্ডে ‘বউদের পাঠশালা’

আন্তর্জাতিক ফ্রঙ্কোফোনি উৎসব উপলক্ষে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা গত শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ মার্চ) বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন করে। এরমধ্যে অন্যতম মলিয়েরের বিখ্যাত সামাজিক কমেডি ‘দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস’ অবলম্বনে নাটক ‘বউদের পাঠশালা’। আশীষ খন্দকারের পরিচালনায় নাটকটি অনুষ্ঠিত হয় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার কোর্টইয়ার্ডে।

নাটকটিতে দেখা যায়, জনবহুল প্যারিসের চৌরাস্তা মোড়- আর্নোলফির বাড়ি। কয়েকদিন পর ধনী বুড়ো তার বাসায় ফিরে আসে। ইতিমধ্যে সে তার ছদ্মনাম রেখেছে লা সূচি। শিশু বয়স থেকে পালিত আগনিসকে বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে। অনভিজ্ঞ আগনিস, যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর, তখন থেকেই বুড়ো আর্নোলফি তার সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে এবং নিজের জীবনের সাথে জড়াতে স্বপ্ন বিলাসী হয়। বাধিত বউদের মতো আগনিসকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চায়। হঠাৎ করে আর্নোলফি তার পুরনো বন্ধু ওরেন্টোর ছেলে হোরেসকে দেখে আনন্দে আপ্লূত হয়ে ওঠে। যুবক হোরেস তার বাবা ওরেন্টোর আসার পূর্বেই প্যারিসে চলে আসে, আর্নোলফির অনুপস্থিতিতে আগনিসের সাথে তার দেখা হয়। হোরেস জানে না, এই সেই ছদ্মবেশী লা সূচি যে কিনা তার বাবার পুরনো বন্ধু আর্নোলফি। হোরেস আগনিসের সাথে বাঁধনহারা প্রণয় রচনা করে। ঘটনাচক্রে, হোরেস আর্নোলফির কাছেই আাগনিসকে পেতে সাহায্য প্রার্থনা করে। আর্নোলফি আগনিসের কাছে জানতে চায় যে তার অনুপস্থিতিতে এক যুবক এই বাড়িতে আসে এবং আগনিসের সাথে প্রণয় করে। আর্নোলফি আগনিসেকে বলে, সে যা করছে সেটা হলো যৌবনের অপব্যবহার। সে আগনিসকে তার আচরণের দিকে মনযোগী হতে বলে। আগনিস শুধু মাত্র আর্নোলফিকেই বিয়ে করবে। 

কোর্টইয়ার্ডে ‘বউদের পাঠশালা’নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ আমিন, টথো থিমোথিউ, রাকিবুল হাসান, ওমর ফারুক খান, জারিন চাকমা, ফয়সাল মাহমুদ, মনিসা অর্চি, সঙ্গীত বড়াই প্রমুখ।

নাটকটির পৃষ্ঠপোষকতায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা।

আন্তর্জাতিক ফ্রঙ্কোফোনি সংস্থা গঠন করা হয় ১৯৭০ সালে যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ফ্রঙ্কোফোনি দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপন করা । পুরো পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৩২০ মিলিয়ন মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করে ফরাসি ভাষায়। এটি ৩২টি দেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের ফ্রঙ্কোফোনি প্রতিনিধি দেশগুলি হলো ফ্রান্স, আলজেরিয়া, কানাডা, মিশর, কসোভো, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।

স্পেস অ্যান্ড অ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড  থিয়েটার ল্যাব একটি থিয়েটার প্রযোজনা সংস্থা। যা সংগঠিত হয় ১৯৯১ সালে যোগাযোগ এবং সৃজনশীল কর্মক্ষমতা অধ্যয়নের জন্য। আশীষ খন্দকার শিল্প পরিচালক হিসেবে এই থিয়েটার ল্যাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি ঐতিহাসিক উপস্থাপনা তৈরি করা, যা সমসাময়িক দর্শকদের জন্য অতীত এবং বর্তমানকে একত্রিত করবে।কোর্টইয়ার্ডে ‘বউদের পাঠশালা’