গল্পের টানে শহর ছেড়ে ছুটে যেতে হয়েছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় মার্চের প্রথম সপ্তাহে লাইট-ক্যামেরা বসিয়ে শুরু করেন শুটিং। দিন দশেক সেখানে চিত্রায়ণ শেষে ফিরে আসে টিম। এবার দ্বিতীয় লট। এর জন্য নির্মাতা-শিল্পী-কুশলী সবাই উড়াল দিয়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সেখানেও প্রাকৃতিক আবহেই হবে শুটিং।
বলা হচ্ছে আলোচিত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’র কথা। যেটার মাধ্যমে প্রথমবার বড় পর্দার সিনেমায় কাজ করছেন নাটকের তারকা আফরান নিশো। বড় ক্যানভাসের নির্মাণে অভিনয় করতে কেমন লাগছে তার? নিশোর জবাব, ‘অবশ্যই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। এটা আমার প্রথম সিনেমা। সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় আমরা সবাই মিলে প্রায় ১০দিন শুট করেছি। সবার থাকা-খাওয়ার খুব কষ্ট ছিল। আমাদের সবার অনেক পরিশ্রম হলেও ভিজ্যুয়ালি বা পারফরম্যান্সে দর্শক উপভোগ্য, রুচিশীল, মার্জিত কিছু দেখতে পাবেন।’
রায়হান রাফীর পরিচালনায় ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় নিশোর সঙ্গে আছেন তমা মির্জা। তার চরিত্রের ঝলকও পাওয়া গেলো নিশোর সঙ্গে। প্রথম লট শেষে তার অভিজ্ঞতা কেমন, জানালেন তিনি। তমার ভাষ্য, ‘অনেক বছর পর আমি এরকম কষ্ট করে শুটিং করেছি। শুধু আমি না, পুরো টিম অনেক কষ্ট করেছে। তারপরও শান্তির জায়গা একটাই, আমরা যতটুকু শুট করেছি, তাতে কোনও কম্প্রমাইজ করিনি।’
নির্মাতা রাফী জানালেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে জায়গায় আমরা শুটিং করেছি, সেটা বছরের অর্ধেক সময় পানিতে ডুবে থাকে। তাই সেখানে সেট বানানো, ক্যামেরা-যন্ত্রাংশ নিয়ে শুটিং করা পুরো ব্যাপারটাই কষ্টের ছিল। প্রায় ২০০ জনের টিম। সবাইকে নিয়ে এরকম দুর্গম অঞ্চলে কাজ করা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। দ্বিতীয় লটের কাজ আরও বেশি কঠিন হবে।’