শুক্রবার সকাল থেকে অন্তর্জাল দুনিয়া হয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ‘বৃহন্নলা’র গল্প ‘চুরি’ প্রসঙ্গে। কলকাতা থেকে তথ্য-প্রমাণ এসেছে এ বিষয়ে। আর এ অভিযোগের আগুনে ঘি পড়েছে একদিন আগে প্রকাশিত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪’ এর সূত্র ধরে।
তবে সন্ধ্যার পর বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করলেন মুরাদ। বললেন, ‘আমি নিভৃতে কাজ করতে পছন্দ করি। এইসব নোংরামির ভেতর থাকতে পছন্দ করি না। তাই সকাল থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছি।’
তাহলে অভিযোগ সত্যি নাকি মিথ্যা? সেটুকু অন্তত বলুন। তিনি বললেন, ‘অবশ্যই মিথ্যা। এর পেছনে কোনও সত্যতা নেই।’ তাহলে সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের ছোট গল্প ‘গাছটি বলেছিল’র সঙ্গে ‘বৃহন্নলা’র পাণ্ডুলিপি অতটা মিলে গেল কীভাবে? লেখকের পুত্র-কন্যাতো দারুণ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুরাদ পারভেজ এবার একটু বিস্তারিত মুখ খুললেন।
বললেন, ‘দেখুন একটা গল্পের চিন্তার সঙ্গে আরেকটা গল্পের মিল থাকতেই পারে। এটা পৃথিবীতে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু আমার গল্পের সঙ্গে সিরাজ (সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের ‘গাছটি বলেছিল’) সাহেবের গল্পের মিল নেই। আমার গল্পের ফিলসফি আর ওই গল্পের ফিলোসফি এবং কনসেপ্ট এর জায়গায় কোনও মিল নেই। ওই গল্পটি আমি পড়েছি। এটা ঠিক, সেই গল্পের কিছু এলিমেন্ট এর সঙ্গে আমার চিত্রনাট্যের খানিক মিল আছে, কিন্তু সেটা একবারেই কাকতালীয়।’
সেই চেনা মানুষগুলো কারা? জবাবে অব দ্য রেকর্ডে বলেছেন অনেক কথা এবং কিছু নাম। এটাও বলেছেন, ‘সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি সব। তাই এসব নিয়ে বাহাসে জড়াতে চাই না। সময় নির্ধারণ করবে সব, আমি অথবা আমরা কেউ নই।’
** ‘গাছটি বলেছিল’ থেকে ‘বৃহন্নলা’, গল্প ‘চুরি’ বিতর্কে মুরাদ পারভেজ!
/এমএম/