সংস্কারের কারণে এফডিসির চেনা রূপ এখন চেনা দায়। মূল ফটক নেই। প্রবেশ করতে হয় পার্শ্ববর্তী নামসর্বস্ব দ্বার দিয়ে। সেখানেই সারি সারি পুলিশ। কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরখ করা হচ্ছে তার নাম ও পরিচয়।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আঙিনায়। কারণ চলছে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ দিন সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। মধ্যাহ্নে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
গেলো আসরের নির্বাচন নিয়ে অন্তহীন বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছিল। এবার তাই বাড়তি নিরাপত্তা আর প্রস্তুতির ছাপ স্পষ্ট। এমনকি নির্বাচনের দিন এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ নিয়েও রাখা হয়েছে জটিল প্রক্রিয়া। সেটা মেনেই সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে সাংবাদিকদের।
এদিকে ভোটগ্রহণের সকাল থেকেই এফডিসি মুখর হয়ে উঠেছে শিল্পীদের পদচারণায়। গত দুই বছরেও যাদের পদধূলি পড়েনি চলচ্চিত্রের এই আঁতুড়ঘরে; তারাও আসছেন ভোট দিতে, দীর্ঘ দিনের সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতে আড্ডায় মশগুল হতে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, ভোটগ্রহণ শেষেও এমন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ থাকবে সিনেপাড়ায়।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি কলি-নিপুণ পরিষদ, অন্যটি মিশা-ডিপজল পরিষদ। এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন নায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন খলনায়ক ডিপজল।
কলি-নিপুণ পরিষদে আরও আছেন—সহ-সভাপতি পদে আছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বাপ্পি সাহা। সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন আজাদ খান।
এই প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের জন্য লড়ছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।
এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হতে চান অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।