‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশ। কয়েকজন সংবাদকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন, যে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন শিবা শানু ও জয় চৌধুরীর মতো পরিচিত চলচ্চিত্র অভিনেতা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার এই ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র পাড়ায় ‘হায় হায়’ ধ্বনি চলছে। এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থা নেবেন।

লিখিত ওই বিবৃতিতে মিশা-ডিপজল জানান, ‘আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটায় বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমাদের আমন্ত্রণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনেরা সংবাদ গ্রহণ করতে এসেছিলেন। তখন অনাহূত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যের হাতাহাতি হয়। আমরা জানতে পেরেছি, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’

ঘটনা তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মিশা-ডিপজল। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

আহত সংবাদকর্মীদের কয়েকজনউল্লেখ্য, শিল্পী সমিতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর কন্যার সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দৈনিক খবরের কাগজের সংবাদকর্মী মিঠুন আল মামুন। তাকে প্রথমে বাধা এবং পরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের হয়ে যেতে বলেন অভিনেতা শিবা শানু। এ সময় অন্য সাংবাদিকরা থামাতে এলে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীসহ শিল্পী সমিতির আরও কয়েকজন তেড়ে আসেন। এরপরই শুরু হয় মারামারি। এতে অন্তত প্রায় ১২ জন সাংবাদিক আহত-রক্তাক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে শিল্পীদের পক্ষের কেউ আহত হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।