ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্র পথে শরণার্থীদের ইউরোপ যাওয়া ঠেকাতে গঠিত ইইউ ন্যাভাল ইউনিট ও ইতালির কোস্টগার্ড উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে নৌকাডুবির ঘটনাস্থলে গিয়ে শরণার্থীদের উদ্ধার করে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাণহানির সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইতালির কোস্টগার্ড ৫ জন মৃত্যুর কথা জানালেও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আশঙ্কা করছে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে ইইউ ন্যাভাল ইউনিটের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন অ্যান্টোনেলো রেনজিস সোনিনো জানান, নিহতের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ জন হতে পারে। পানিতে লাইফ জ্যাকেট ছুড়ে শরণার্থীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার ইতালির নৌ বাহিনী এক নৌকাডুবির পর ৫৬২ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করে।
এ বছর ইতোমধ্যে ৩০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী লিবিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছেছেন। মার্চ মাসে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়েভেস লে ড্রায়ান জানান, ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার জন্য অন্তত ৮ লাখ শরণার্থী লিবিয়ায় অপেক্ষা করছেন। এদের বেশির ভাগই সোমালিয়া, সুদান ও ইরিত্রিয়ার নাগরিক।
ইউরোপে শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতার জন্য ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করেছে। চলতি মাসের শুরুতে, ব্রিটিশ সংসদীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবিয়ায় মানবপাচার রোধে ইইউর নৌ মিশন ব্যর্থ হয়েছে। নৌ মিশনে কারণে শুধু পাচারকারীরা তাদের কৌশল পাল্টেছেন। সূত্র: বিবিসি।
আরও পড়ুন:
- দেশব্যাপী শ্রমিক ধর্মঘটে উত্তাল ফ্রান্স
- রাশিয়কে ছাড়া বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না ইইউ: পুতিন
- হাসিনা হাত বাড়ালেন, এবার পালা মমতার
/এএ/