তুরস্কে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই ঘোষণায় বলা হয়, ‘স্বৈরশাসন সংহত হতে থাকায়’ এবং ‘সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ায়’ দেশে সামরিক আইন জারি করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশটিতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার সমর্থক ও অভ্যুত্থানবিরোধী জনগণ ইস্তাম্বুলের তাকসিম চত্ত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়। বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনী একটি ‘পিস কাউন্সিল’ গঠন করেছে। যেখানে ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার কোনও বৈষম্য থাকবে না। টেলিভিশনের ওই ঘোষণায় বলা হয়, এখন থেকে এই কাউন্সিলের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
এদিকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে এটিএম বুথগুলোতে টাকা তোলার জন্য ভিড় করতে দেখা যায়।
কয়েকঘণ্টা আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর একটি দল দেশে অবৈধ অভিযান শুরু করেছে। তবে এটা অভ্যুত্থান ছিল না। তিনি জানান,সরকার ক্ষমতায় আছে।
এদিকে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ও ইস্তানবুলের পুলিশ সদর দপ্তর এলাকাতে গোলাগুলির হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো। এছাড়া ইস্তানবুল বিমানবন্দরের বাইরে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম দেশটির এনটিভি টেলিভিশনকে জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর কোনও একটি চেষ্টার সম্ভাবনার বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। তবে এ ধরণের চেষ্টা কখনও বরদাস্ত করা হবে না। যারা এজন্য দায়ী, তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
/এসএনএইচ/এপিএইচ/
আরও পড়ুন: