মার্চে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করবে ব্রিটেন

থেরেসা মে২০১৭ সালের মার্চের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটি কার্যকরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চলতি বছর ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করবে না তার সরকার। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যত দ্রুত সম্ভব এ প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছিল। ব্রিটেনের ব্রেক্সিট সমর্থকরাও দ্রুত ব্রেক্সিটের কার্যকারিতা দেখতে আগ্রহী।

২০১৭ সালে ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ, ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছাড়তে পারে ইউরোপের দেশটি।

ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটি হয় ২০১৬ সালের ২৩ জুন। ওই ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ ভোটাররা। সে গণরায়ের প্রায় ১০০ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু এ সময়ে ঠিক কতটুকু এগিয়েছে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের প্রক্রিয়া? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, এই প্রক্রিয়ার অনেক বিষয়েই এখনও অস্পষ্টতা বিদ্যমান রয়েছে। রবিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অবস্থান জানানোর মাধ্যমে সেই অস্পষ্টতা দূর হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ‘বেক্সিট মানে বেক্সিট’ এবং তিনি ব্রিটেনের জন্য সর্বোত্তম চুক্তি চাইবেন।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে বলেছেন, দেশটি ইইউ’র লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ-৫০ কার্যকর করতে আগ্রহী।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নেতারা চান, ব্রিটেন এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এক্ষেত্রে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অনিশ্চয়তা হচ্ছে এক ধরনের অসহযোগিতা।

এদিকে আগামী বছর ফ্রান্স ও জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটিও ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

/এমপি/