ডিসিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এতো ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু ২০১৬ সালকে তাদের গত দশকের সবচেয়ে রক্তাক্ত বছরে পরিণত করেছে।’
ডিসিআই-প্যালেস্টাইন-এর অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আয়েদ আবু একতাইশ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা ‘হত্যার জন্য গুলি’-নীতি বজায় রেখেছে। ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য তাদের কাছে সবুজ সংকেত আছে এবং সত্যিকার অর্থে তারা দায়মুক্তি নিয়েই তা করতে পারে।’
ডিসিআই-প্যালেস্টাইন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ৩২ জন শিশুর মধ্যে ১৯ জনের বয়স ১৬ এবং ১৭ এর মধ্যে এবং ১৩ জনের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ২০১৫ সালে অধিকৃত পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত শিশুর সংখ্যা ছিল ২৮। আর ২০১৪ সালে ১৩ জন ফিলিস্তিনি শিশু এবং ২০১৩ সালে চার শিশু নিহত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ২৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে ইসরায়েলি বাহিনীরও ৩৬ সেনা নিহত হয়।
/এফইউ/