ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চারদিন পর, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে দাফন করা হয়। তাকে শেষ বিদায় জানাতে শহরটিতে জড়ো হয়েছিলেন লাখো ইরানি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়,তাকে ইরানের পবিত্রতম ইসলামিক স্থান ও শিয়া মুসলমানদের সম্মানিত সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারে সমাহিত করা হয়। নবম শতাব্দীতে ইমাম আলী আল-রেজার বিশ্রামস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল ইমাম রেজার মাজার।
দাফন অনুষ্ঠানে ইরানের সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বাঞ্চলীয় শহর বিরজান্দে শেষ জানাজার আয়োজন করা হয়।
এরপর রাইসির মরদেহ পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী মাশহাদের বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর একটি মোটর শোভাযাত্রায় তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায় তার শহরের মানুষ। তাকে শেষ বিদায় জানাতে আসা মানুষজনের হাতে ছিল রাইসির ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ইরানের পতাকা। এ সময় তার মরদেহ ঘিরে মানুষের আহাজারি দেখা যায়।
বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরানে তার নামাজে জানাজায় নেতৃত্ব দেন। এর আগে রাইসি ও অন্যদের মৃত্যুতে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেন খামেনি। রাইসিকে খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকেও বৃহস্পতিবার শাহর-ই শহরের শাহ আবদোল-আজিমের মাজারে দাফন করা হয়।
দাফনের আগে তেহরানের এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত কূটনীতিককে শ্রদ্ধা জানান ইরানি কর্মকর্তা ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
রবিবার পূর্ব আজারবাইজান সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।