সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় যেতে চায় সিরীয় বিদ্রোহীরা

হাই নেগোসিয়েশনস কমিটির (এইচএনসি) মুখপাত্র সালেম আল-মেসলেতপৃথক কক্ষে মধ্যস্ততাকারীর মাধ্যমে আলোচনার পরিবর্তে জেনেভায় জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চায় বিদ্রোহীরা।

সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রধান জোট হাই নেগোসিয়েশনস কমিটির (এইচএনসি) মুখপাত্র সালেম আল-মেসলেত ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, আমরা সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। এতে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি ভিন্ন কক্ষে আলোচনার বদলে মুখোমুখি আলোচনায় এর গুরুত্বও প্রকাশ পাবে।

বৃহস্পতিবার সকালে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠনের জোট এইচএনসি-র সঙ্গে আসাদ সরকারের শান্তি আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে।

গতবছর তিনবারের আলোচনায় দু’পক্ষ একবারের জন্যও মুখোমুখি আলোচনায় বসেনি। এই শান্তি আলোচনায় মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় বিশেষ অবদান রেখেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তেফান ডি মিস্তুরা।

যদিও জেনেভা শান্তি আলোচনাকে গভীর কূটনৈতিক উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বিদ্রোহী ও সরকারের  মধ্যে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তর দ্বিমত রয়েছে। আর এজন্য এবারের আলোচনা থেকে খুব আকর্ষণীয় কিছু আশা করছেন না মিস্তুরা।

বুধবার জাতিসংঘ সদর দফতরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কি এই আলোচনা থেকে চমকপ্রদ কিছু আশা করছি? না, আমি তা করছি না।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপ পরিষদের রেজলিউশন ২২৫৪-এর ভিত্তিতে সরকার ও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি রাজনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে তিনি উদ্যোগী ছিলেন।

এর আগে আস্তানায় ৩০ ডিসেম্বর থেকে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হয়। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে। তবে বিভিন্ন বিষয় দ্বিমত থাকলেও তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এরই ফলশ্রুতিতে এবারের জেনেভা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তবে এইচএনসি-র উপদেষ্টা ইয়াহিয়া আল-আরিদি আলোচনায় সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘যখন অস্ত্রবিরতি চুক্তি রক্ষা করা হয় না, আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সংবিধানের বিষয়ে টাল-বাহানা করা হয়, তখন ওই আলোচ না উৎসাহব্যাঞ্জক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করছি না। আমরা ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রাটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’  

সূত্র: আল-জাজিরা।

/এসএ/