ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে ছুরিসহ যুবক গ্রেফতার

Terror arrest near Houses of Parliamentব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছ থেকে ছুরিসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা। সংস্থাটির নিয়মিত অভিযানের সময় সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনার সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় হোয়াইট হল, ডাউনিং স্ট্রিট, পার্লামেন্ট স্কয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নানা স্থাপনা অবস্থিত।

এ ঘটনায় পার্লামেন্ট স্ট্রিট বন্ধ করে দেয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা। ছুরি নিয়ে ওই তরুণের সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছরে ওই যুবককে যুক্তরাজ্যের টেররিজম অ্যাক্টের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাউথ লন্ডন পুলিশ স্টেশনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন পুলিশের ফায়ারআর্মস কমান্ডের বিশেষজ্ঞরা পার্লামেন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিয়ে অস্ত্র বহনের সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে থাকা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডের গোয়েন্দারা। তবে পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি ছিল-এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ওই এলকায় থাকা গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে সক্ষম হয়নি।

ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, দুইজন কর্মকর্তাকে একজন ব্যক্তিকে হ্যান্ডকাফ পরাচ্ছেন। ওই ব্যক্তির হাতে সাদা ব্যান্ডেজ দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ব্যাকপ্যাকে দুটি ছুরি ছিল। এরমধ্যে একটি ছিল রুটি কাটার বিশাল ছুরি।

এর আগে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এলাকায় হামলা চালায় খালিদ মাসুদ নামের ২৫ বছরের এক ব্যক্তি। সেদিন দুপুরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার সেতু দিয়ে একটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে হামলাকারী। পথিমধ্যে সেতুতে থাকা লোকজনকে গাড়িচাপা দিয়ে গাড়ি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এরপর ছুর হাতে গাড়ি থেকে নেমে পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে অনুপ্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাকে নিবৃত্ত করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। নিহতদের মধ্যে পিসি কিথ পালমার (৪৮) নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। ২২ মার্চের ওই ঘটনার পর থেকেই লন্ডনে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়; যা এখনও বহাল আছে।

/এমপি/