যুক্তরাজ্যে আগুনের আশঙ্কায় ২৭টি ভবন, আশ্রয়ের খোঁজে ৪ হাজার বাসিন্দা

download

যুক্তরাজ্যে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকয়ি ২৭টি বহুতল ভবন খালি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে ঘর ছাড়তে হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দাকে।  শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনের প্রায় ৬০০ বহুতল ভবনে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। কমিউনিটিস মন্ত্রণালয়ের ওিই পরীক্ষায় ২৭টি ভবন ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সেই ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে। গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এই পদক্ষেপ নেয় সরকার।

গত সপ্তাহে লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৯ জন প্রাণ হারান। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে যুক্তরাজ্য। কমিউনিটিস মন্ত্রণালয় জানায়, লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ম্যানচেস্টার পর্যন্ত ২৭টি ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলে চিহ্নিত করেছে তারা।

অগ্নিকাণ্ডের পর তৎক্ষণাৎ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তাই এখন দ্রুত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এমন পদক্ষেপ নেওয়া খুবই কঠিন। অনেককে অস্থায়ী আবাসে সরিয়ে নিতে হচ্ছে আমাদের।’

২৭টি ভবনের প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি খালি কতে বলা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা সবাই এখন আশ্রয় খুঁজছেন। কেউ বন্ধু কিংবা আত্মীয় বাড়িতে, নয়তো হোটেল।  ঘর ছাড়ার কথা শুনেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তাদের দাবি, খুব অল্প সময়ের নোটিশে তাদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে যেটা প্রায় অসম্ভব। শহরের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের এই বিষয়টি জানিয়েছে। সবাই তখন এত কম সময়ে ঘর ছাড়তে রাজি হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন ঘরছাড়াদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে।

ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রধান জর্জিয়া গুল্ড বলেন, ‘আমরা জানি এটা খুবই কঠিন। তবে নিরাপত্তা সবার আগে।’

/এমএইচ