প্রেমিককে ‘অনিচ্ছাকৃত হত্যা’র দায়ে মার্কিন নারীর আড়াই বছরের কারাদণ্ড

টেক্সট ও ফোনকলের মাধ্যমে প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের এক নারীকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বছরের মাঝামাঝি অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মাইকেল কার্টার নামের ২০ বছর বয়সী ওই নারী । বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষিত হয়। 

কার্টার
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই গাড়িতে বসে বিষ পানে আত্মহত্যা করেন কার্টারের প্রেমিক কনরাড রয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, আত্মহত্যার দুই সপ্তাহ আগে কনরাডকে কার্টার যেসব টেক্সট পাঠিয়েছিলেন তার মধ্যে বলা হয়েছিল: ‘গলায় ফাঁস দাও/ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়/নিজেকে ছুরিকাঘাত করতে পার/ আমি জানি না এরকম আরও অনেক উপায় থাকতে পারে।’

জুনে আদালতের সামনে কার্টারের এমন শত শত টেক্সট হাজির করা হয়েছিল। তখন বিচারপতি মনিজ কার্টারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন। 

বৃহস্পতিবার শুনানি চলার সময় কনরাডের বাবা বলেন: ‘আমার পরিবার মর্মাহত। আমার ছেলে আমার সেরা বন্ধু ছিল।’

বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণার সময় দুই হাত ভাঁজ করে অশ্রুসজল চোখে দাঁড়িয়ে ছিলেন কার্টার। আদালতে প্রসিকিউটররা বলেন, ‘তার কর্মকাণ্ডের কারণেই কনরাড রয়ের মৃত্যু হয়েছে’।

যে অপরাধে কার্টারকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই অপরাধে তার সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে, কার্টার ও নিহত কনরাড রয় দুইজনই মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

নির্ধারিত সাজার মধ্যে কার্টার কারাগারে ১৫ মাস থাকবেন আর বাকি সময় থাকবেন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে।

/এফইউ/বিএ/