সৌদি আরব ও মিসরে অস্ত্র বিক্রি বাড়িয়েছে জার্মানি

06সৌদি আরব এবং মিসরের কাছে অস্ত্র বিক্রি ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে জার্মানি। এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে তার প্রশাসন। স্টেফান লিবিশ একটি প্রশ্ন করেছিলেন সংসদে। আর তার উত্তর জানার পর থেকেই চলছে ম্যার্কেল সরকারের সমালোচনা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মান সরকার কি হারে অস্ত্র রফতানি করছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বাম দলের নেতা স্টেফান লিবিশ। এর জবাবে জার্মান অর্থমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি সৌদি আরব এবং মিসরে ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ ৫২৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এর মধ্যে মিসরে যাবে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র। সৌদি আরবের কাছে এই দফায় জার্মানি বিক্রি করবে তার ঠিক অর্ধেক, অর্থাৎ ১৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, সৌদি আরব আর মিসরে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর যে অস্ত্র জার্মানি রফতানি করছে, তা শুধু এ বছরের শেষ চার মাসের হিসাব। গত বছরের তুলনায় তা কোনও কোনও ক্ষেত্রে সাত গুণেরও বেশি। গত বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালের শেষ চার মাসে জার্মানি মিসরের কাছে বিক্রি করেছিল মাত্র ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র এবং সৌদি আরবে কাছে বিক্রি করেছিল ৪১ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র।

বিরোধীরা মিসর ও সৌদি আরবের ‘স্বৈরাচারী' সরকারের কাছে এমন বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির কারণে ম্যার্কেলের জোট সরকারের সমালোচনায় মুখর। সৌদি আরব ও মিশর এ অস্ত্র কোথায়, কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সে বিষয়টি চিন্তা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘আউটক্রাই অ্যাকশন – স্টপ দ্য আর্মস ট্রেড'-এর মুখপাত্র ইয়ুর্গেন গ্র্যাসলিন এ বিষয়ে জার্মান সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার অস্ত্র বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে সবসময় অনিচ্ছুক, কিন্তু তাদের এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতেই হবে।

সৌদি আরব এবং মিসরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইয়েমেনে হাজারো মানুষের মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি করতে হবে তাদের।

আরব বিশ্বের দরিদ্র দেশ ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে এ পর্যন্ত  প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এ যুদ্ধের কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক এবং মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি।