ব্রেইটবার্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ব্যানন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী স্টিভ ব্যানন এবার দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের ছেলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জের ধরেই এই পদত্যাগ বলে ধারণা করা হচ্ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

_99530702_mediaitem99530698প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রুশ আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্প জুনিয়রের সাক্ষাতকারকে ‘রাষ্ট্রদোহিতামূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন ব্যানন।  

ব্যানন ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও বিতর্কিত সহযোগীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তবে গত গ্রীষ্মেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। অপসারিত হওয়ার পর ব্যানন পুনরায় ডানপন্থী ব্রেইটবার্ট নিউজ-এর দায়িত্বে ফিরে যান। ওই সময় তিনি জানান, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, তার পক্ষেই লড়াই করবেন।

উগ্র রক্ষণশীল রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান-এর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছেড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মুখ্য কৌশল প্রণেতা হয়েছিলেন স্টিভ ব্যানন। এবার আবার ব্রেইটবার্ট ছাড়লেন ব্যানন।

ব্যানন বলেন, আমি ব্রেইটবার্টের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত। অল্পসময়ের মধ্যেই তারা আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।

আর ব্রেইটবার্টের প্রধান নির্বাহী ল্যারি সোলভ বলেছেন, ‘স্টিভ ব্যানন আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। আমাদের অর্জনে তার অবদানে সবসময়ই আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন অজানা বিস্ফোরক তথ্য নিয়ে ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি : ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ নামের বই প্রকাশিত হয়। এটি লিখেছেন স্বনামধন্য সাংবাদিক মাইকেল ওলফ।

ট্রাম্পের সাবেক পরামর্শক স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে রুশদের কথিত বৈঠককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি বইটিতে ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকাকে নিয়ে অজানা তথ্য রয়েছে।

নানা অজানা তথ্যের মধ্যে হোয়াইট হাউসের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যাননের বিস্ফোরক মন্তব্য আছে ওই বইতে। বইয়ের তথ্যানুসারে, নির্বাচনি প্রচারের সময় রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড জুনিয়রের বৈঠককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্যানন। ২০১৬ সালের জুনে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প টাওয়ারে ওই বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।

বইয়ে লেখার এমন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়ায় ব্যাননের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে বা আমার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে স্টিভ ব্যাননের কোনও সম্পর্ক নেই। যখন তাকে ছাঁটাই করা হয়েছিল তিনি শুধু দায়িত্ব হারাননি, তার মাথাও খারাপ হয়ে গেছে।’