মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের

তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের কয়েক মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই মন্ত্রীর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আঙ্কারা। শুক্রবার দুই দেশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পতুরস্কে এরদোয়ানবিরোধী ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টা জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতারকৃত মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে বন্দি রাখার ঘটনায় তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তুরস্কও যুক্তরাষ্ট্রের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত মে মাসে তুরস্কের আদালতে মুক্তি পান অ্যান্ড্রু ব্রানসন। মুক্তি পেয়ে তিনি জার্মানি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। তার মুক্তিতে দুই দেশের মধ্যকার বরফ গলতে শুরু করে। এর প্রেক্ষিতেই শুক্রবার মন্ত্রীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় দুই দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দুই তুর্কি মন্ত্রী হচ্ছেন তুরস্কের বিচারমন্ত্রী আব্দুল্লাহমিত গুল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সুয়েলু। এ ঘটনায় পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত আগস্টে এই পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে তুরস্কে বসবাস করছিলেন মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসন। স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে ইজমিরে বসবাস করতেন তিনি। কাজ করতেন স্থানীয় একটি চার্চে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে) এবং ২০১৬ সালে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত গুলেনপন্থীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, দুই বছর আগের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য ২০ জন মার্কিন নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক। অ্যান্ড্রু ব্রানসন তাদের একজন।