মঙ্গলবার ভোরে আজাদ কাশ্মিরে পরিচালিত ভারতীয় বিমান হামলার ভয়াবহতা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তারা জানান, সে সময় খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। বারবার বিকট আওয়াজ হচ্ছিলো।
১৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পুলওয়ামায় আরডিএক্স বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’র গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বহরের ৭০টি গাড়ির মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাণ হারায় বাহিনীর অন্তত ৪৪ জন সদস্য। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ওই হামলা সংঘটিত হয়েছে দাবি করে তখন থেকেই সামরিক হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৩টা নাগাদ ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করে।
মোহাম্মদ আদিল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তার বাড়ির কাছেই হামলা হয়েছে এবং এমন একজন আহত হয়েছেন, যাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তিনি। তিনি বলেন, খুবই ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো তখন। আমরা অনেক বিকট আওয়াজ শুনছিলাম। এর পাঁচ-দশ মিনিট পরই বিস্ফোরণের আওয়াজ পাই। আমরা সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একই সময়ে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ওয়াজিদ শাহ নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনে হচ্ছিলো কেউ রাইফেল দিয়ে গুলি চালাচ্ছিলো। আমরা তিনবার এমন শব্দ পাই। এরপর সব নীরব।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আজমল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমরা অনেক গাছ পড়ে থাকতে দেখেছি। এছড়া একটি বাড়ি ও চারটি ক্রেটারও ধ্বংস হয়ে গেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইটে বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমান খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটের কাছে বোমা বর্ষণ করে। জবাবে পাকিস্তানি বিমান বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।