আমিরাতের সমুদ্র বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রা সমুদ্রবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরাকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার একজন মার্কিন কর্মাকর্তা বলেছেন, আমেরিকার একটি সামরিক দলের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ইরানের ইন্ধনেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার দিনের প্রথম ভাগে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। 

noname

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সে দেশের পানিসীমার কাছে এই ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলা’ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফুজাইরা বন্দরের কাছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বিবৃতিতে বলা হয়, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নাশকতামূলক তৎপরতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। এসব জাহাজের কর্মীদের জীবন বিপন্ন করা হয়েছে।

তদন্তের ব্যাপারে জনসম্মুখে কিছু বলার এখতিয়ার নেই, এমন একজন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, বিস্ফোরণের কবলে পড়া ৪টি জাহাজেই ৫ থেকে ১০ ফুট ফুটো দেখা গেছে। তাদের ধারণা, বিস্ফোরণের কারণেই জাহাজগুলো ফুটো হয়েছে। আমিরাতের অনুরোধে মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনা তদন্তে সেখানে গেছেন।

ওই কর্মকর্তা তদন্তের বিস্তারিত জানাতে সক্ষম হননি। ঠিক কী কারণে এ ঘটনায় ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কিছু বলতে পারেননি তিনি। তবে মার্কিন প্রতিক্রিয়ার আগেই ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, এ ঘটনাকে তেহরানের ওপর সামরিক হামলার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে আমিরাতের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে রবিবার দিনের শুরুতে লেবাননভিত্তিক আল মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, আল-ফুজাইরা তেল ট্যাংকার টার্মিনালের সাতটি ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। টার্মিনাল থেকে কয়েকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রথমে আমিরাতি কর্তৃপক্ষ এ খবর অস্বীকার করলেও পরে আগুন ধরে যাওয়া জাহাজের নাম প্রকাশ হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ চারটি জাহাজে বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে।