তীব্র বর্ষণে মহারাষ্ট্রে বন্যা, মৃত ২৮

ভারতের মহারাষ্ট্রে তীব্র বর্ষণজনিত বন্যায় দুই দিনে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রত্নগিরি জেলায় প্রবল বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে বন্যা দেখা দেয়। বানের পানির তাণ্ডবে মারা যান অন্তত ৬ জন। এর আগে সোমবার রাতে রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ের তিনটি জায়গায় টানা বর্ষণজনিত দেয়াল ধসে মৃত্যু হয় অন্তত ২২ জনের।

13মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রত্নগিরি জেলার বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে প্লাবিত হয় নিকটবর্তী অ্যাকলে, রিক্তোলি, ওভালি, কালকাভনে ও নন্দিভাসেসহ সাতটি গ্রাম। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জন। বন্যার তোড়ে অন্তত ১২টি বাড়ি ও ২০টি গাড়ি ভেসে গেছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, ১৯ বছরের পুরনো তিওয়ারে বাঁধে আগেই ফাটল দেখা গিয়েছিল।

স্থানীয়দের দাবি, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও বাঁধ মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুম্বাই থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এলাকাটিতে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রজুড়ে গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, সোমবার থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মুম্বাইতে। এছাড়াও থানে, পালঘর, রায়গড় জেলার পাশাপাশি নাসিক, রত্নগিরি, সিন্ধুবাগ ও রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তেও প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ ঘণ্টায় শহরে অপ্রত্যাশিত ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি গত এক দশকে সর্বোচ্চ। তীব্র বৃষ্টির ফলে বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সমস্যা হয়ে পড়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পিছলে যায় স্পাইসজেটের একটি বিমান। রানওয়েতে ধাক্কা মারে সেটি। ১৬৭ জন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে। তবে কেউ আহত হননি।

রেললাইনে পানি জমে যাওয়ায় রাজ্যে বহু দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বাতিল হয়েছে। ভারী বর্ষণের জেরে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে ৫০টির বেশি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।