ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ অ্যাম্বার রুডের

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে করলেন দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড। কনজারভেটিভ হুইপকে তিনি জানান, মডারেট কনজারভেটিভরা যেখানে দায়িত্বে নেই সেখানে তিনি থাকতে পারেন না।

Untitled-1-641

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন জনসন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে সময়সীমা বর্ধিত করার আহ্বান সম্বলিত একটি বিল এখন রাজকীয় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানো সংক্রান্ত আন্তঃদলীয় বিলটি শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয়। তবে বরিস জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আবেদন করার চেয়ে তিনি খাদে পড়ে মরে যাওয়াকে বেছে নেবেন।

চাকরি ও অবসরভাতা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাম্বার রুপ বলেন, তিনি মনে করেন না যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিলো্ তার দাবি, মঙ্গলবার ২১ জন টরি এমপিকে বরখাস্ত করা গণতন্ত্র ও শিষ্টাচার বহির্ভূত।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাম্বারের মতো প্রতিভাবান একজন মন্ত্রীর পদত্যাগে তারা হতাশ। তবে এক মুখপাত্রের দাবি, মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া সব মন্ত্রীরই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটে সমর্থন দেওয়ার কথা ছিলো।

সরকারের উচ্চ পর্যপায়ের এক সূত্র জানায়, মানুষ ব্রেক্সিট চায়। কারও পদত্যাগে তা পরিবর্তন হবে না।

লেবার পার্টি থেকে বলা হয়, রুডের পদত্যাগে এটা স্পষ্ট যে সরকার ভেঙে পড়ছে।  

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে রুড বলেন, ‘আমি সরল বিশ্বাসে আপনার মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়টি আলোচনায় আছে। ৩১ অক্টোবরে মধ্যে আমাদের নতুন চুক্তিতে যাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিলো। তবে আমি এখন বিশ্বাস করি না যে এটা সরকারের মূল লক্ষ্য ছিলো।