যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছে উবার

২০১৭ ও ২০১৮ সালে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছে উবার। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে হয়রানির অভিযোগ ১৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

_110026855_gettyimages-1142303764

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উবারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার হার বাড়ছে। তদন্তের মুখে পড়েছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি লন্ডনে নিষিদ্ধ হয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,  গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ কোটির বেশি ট্রিপ/যাত্রা সম্পন্ন করেছে তারা। মোট ভ্রমণের ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশই সম্পন্ন হয়েছে নিরাপত্তা সমস্যা ছাড়াই। আর মোট ট্রিপের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮১টি যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

উবারের প্রধান আইনি কর্মকর্তা টনি ওয়েস্ট বলেন, ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত এই সব জটিল সমস্যা নিয়ে স্ব-উদ্যোগে রিপোর্ট প্রকাশ করা সহজ কাজ নয়। নেতিবাচক শিরোনাম আর জনসম্মুখে সমালোচনা হওয়ার ভয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের অভ্যন্তরীণ যৌন সহিংসতার বিষয়ে নীরব থাকে। তবে এখন ভিন্নভাবে ভাবার সময় এসেছে।'

উবারের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ সংস্থার প্রধান ক্যারেন বেকার। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটির মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে কাজ করতে পারবো।’

উবারের ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের লিফট ও চীনা প্রতিষ্ঠান দিদি। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা করা উবারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শর্ত পূরণ করতে না পারায় এ বছরের নভেম্বরে উবারের লাইসেন্স বাতিল করে লন্ডন কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিষ্ঠানটি এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে এবং বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।