নাগরিকত্ব আইন না মানলে উত্তর কোরিয়া যান: মেঘালয়ের গভর্নর

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতাকারীদের গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দিয়েছেন মেঘালয়ের গভর্নর তথাগত রায়। তার দাবি, গণতন্ত্রে মতভেদ থাকবেই; সেটা কেউ মানতে না পারলে তার উত্তর কোরিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা জারি রয়েছে।

Capture

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত বিলটি। তারপর থেকেই সহিংসতা বেড়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়। 

শুক্রবার রাতে তথাগত রায় টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বির্তকের এই পরিবেশে দুইটি জিনিস কখনও ভুলে গেলে চলবে না। প্রথমত এই দেশ একসময়ে ধর্মের নামেই ভাগ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মতভেদ থাকাটা খুবই জরুরি, আপনি যদি এই গণতন্ত্র না চান তাহলে উত্তর কোরিয়াতে চলে যান।’

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শুক্রবারও (১৩ ডিসেম্বর) আন্দোলনে উত্তাল ছিল দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়। শনিবার দুপুরে পোস্ট করা টুইটে তথাগত রায় বলেন, ‘খবরের কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সয়লাব- নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জনগণ কী রকম সোচ্চার, কীভাবে সাম্প্রদায়িক ট্রেনযাত্রীদের দিকে ধর্মনিরপেক্ষ পাথরবৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রশ্ন, যদি আইন এতই খারাপ হয়, জনগণ যদি এর এতোই বিরুদ্ধে হয়, তাহলে আইনটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে পাস হলো কী করে ?’

গভর্নরের টুইটের কয়েক ঘণ্টা পরই বিক্ষোভকারীরা মেঘালয়ের রাজভবনের সামনে হাজির হয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে রাজভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে তারা। সে সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরে আহত হন  দুই পুলিশ কর্মকর্তা।