সাত দিন সহিংসতা কমানোর বিষয়ে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান

সাত দিনের জন্য সহিংসতা কমানো নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।  বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাসেলসে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এস্পার সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের একমাত্র সমাধান রাজনৈতিক চুক্তি আর সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই এনিয়ে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া তালেবান নেতাদের একাংশ

৯/১১ হামলার পর আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে উৎখাত করতে শুরু করা যুদ্ধে প্রায় দুই লাখ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে ২০১৮ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, তালেবানের সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তিতে সায় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে শর্ত স্বাপেক্ষে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর কথা বলা হয়েছে।

তালেবানের সঙ্গে সহিংসতা কমানো নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেন, ‘আমরা মনে করি এই মুহূর্তে সাত দিন যথেষ্ট কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় আমাদের সব পদক্ষেপই শর্তাধীন, আমি আবারও বলছি শর্তাধীন’। কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

নিজস্ব সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই ধরনের আংশিক যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হলে এ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। ওই চুক্তিতে আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা যেমন থাকবে তেমনি তালেবানের তরফে নানা ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে এবং গোষ্ঠীটি কাবুলের সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা শুরু করবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এছাড়াও দেশটিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোরও হাজার হাজার কর্মী রয়েছে।