কপিল মিশ্রের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য: দিল্লির সহিংসতা নিয়ে গৌতম গম্ভীর

দিল্লির সহিংসতাকে ঘিরে দলীয় সহকর্মী কপিল মিশ্রের উসকানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আইন প্রণেতা গৌতম গম্ভীর। এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সহিংসতায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের এক বিতর্কিত টুইটের পর থেকে এই সহিংসতা শুরু হয়।বিজেপির আইন প্রণেতা গৌতম গম্ভীর

বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই দিন সাড়ে ৪টা নাগাদ উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পরস্পরের দিকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে তা দিল্লির অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

সহিংসতায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে মঙ্গলবার হাসপাতালে যান বিজেপির আইন প্রণেতা গৌতম গম্ভীর। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। যারাই এটা করে থাকুক না কেন,... অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কপিল মিশ্রের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এটা দিল্লির বিষয়, কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়’।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘শাহিনবাগের বিক্ষোভ সব সময় শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ট্রাম্প এখানে রয়েছেন আর সহিংস বিক্ষোভ হচ্ছে- এটা ঠিক না। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অধিকার সেটা ঠিক আছে। কিন্তু হাতে পাথর তুলে নেওয়া নয়। পিস্তল হাতে নিয়ে আপনি পুলিশের সামনে কিভাবে দাড়ান?’

এই মাসে অনুষ্ঠিত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে হেরে যান কপিল মিশ্র। বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য নানা সময়ে সমালোচিত এই নেতা ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে তাকে দিল্লির উত্তরপূর্ব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভেদ প্রকাশকে পাশে নিয়ে সিএএ-বিরোধীদের হুমকি দিতে দেখা যায়। তাকে বলতে শোনা যায়, তার সমর্থকেরা শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আর তারপর তারা দিল্লি পুলিশের কথাও শুনবে না এবং সিএএ বিরোধিতাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে।  তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে সহিংসতা শুরু হয়।