করোনাকে জীবাণু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলে সন্ত্রাসবাদী আইনে ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্র

ইচ্ছাকৃত কেউ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসবাদী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ্রে রোজেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, করোনাকে কেউ জীবাণু অস্ত্রের মতো করে ব্যবহার করতে চাইলে তারা ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে সামনে আসা ও অন্যকে সংক্রমিত করা’র দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে।’

করোনা ভাইরাস (ছবি: ইন্টারনেট)

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মার্কিন অ্যাটর্নিদের কাছে একটি বিবৃতি পাঠান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ্রে রোজেন। তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাসজনিত প্রকোপকে ব্যবহার করে অনেক জালিয়াতিমূলক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হচ্ছে। মাস্ক নিয়ে অনেকে অসাধু উপায়ে ব্যবসা করছে। বেশ কিছু ভুয়া করোনাভাইরাস অ্যাপস ও ওয়েবসাইট চালু হয়েছে, যেগুলো ভাইরাসে ভর্তি। এ ব্যাপারে বিবৃতিতে রোজেন লিখেছেন, ‘এ সংকটকে পুঁজি করে অবৈধ মুনাফা উপার্জনের চেষ্টা কিংবা মার্কিন জনগণকে ধোঁকা দেওয়া নিন্দনীয় কাজ এবং তা সহ্য করা হবে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জীবাণু অস্ত্র হিসেবে গণ্য হওয়ার অবস্থায় রয়েছে ভাইরাসটি। তেমন কোনও কর্মকাণ্ডকে দেশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের আওতায় আনতে হবে।’ রোজেন আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯-কে মার্কিনিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের হুমকি বা প্রচেষ্টা বরদাশত করা হবে না।’ তিনি মনে করেন, নোভেল করোনা ভাইরাস ও এ সংকটপূর্ণ সময়ে মার্কিনিদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারও অ্যাটর্নিদের কাছে বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিষেধক অনলাইনে বিক্রি করার মতো অপরাধগুলো সহ্য করা হবে না।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮ জনের।