দেশের নাম ইন্ডিয়ার বদলে শুধুই ভারত রাখার প্রস্তাব খারিজ

দেশের নাম শুধু ‘ভারত’ থাক, বাদ দেওয়া হোক ‘ইন্ডিয়া’। সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ীভাবে দেশের নাম কেবল ‘ভারত’ রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। বুধবার দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘এক্ষেত্রে আদালতের কিছুই করার নেই। সংবিধানেই ইন্ডিয়াকে ভারত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’

noname

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের নাম বদলের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন নমহ্ নামের দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তার যুক্তি ছিল, ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি এ দেশের নয়। গ্রিক শব্দ ‘ইন্ডিকা’ থেকে এর উৎপত্তি। এর সঙ্গে দাসত্বের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তা পাল্টে দেশের নাম ভারত বা হিন্দুস্তানের মধ্যে যে কোনও একটি রাখলে, এ দেশের নাগরিক হিসাবে গর্ববোধ করবে মানুষ। বহু কাল ধরে দেশে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান প্রচলিত রয়েছে। তাই দেশের নাম ভারত রাখলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই সার্থক হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

১৯৪৮ সালের পার্লামেন্ট বিতর্ককে উল্লেখ করে ওই আবেদনে আরও বলা হয়, ‘‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত।’’

প্রসঙ্গত ভারতের সংবিধানে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’, দুটো শব্দই রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই আবেদন নিয়ে আদালতে আসার প্রয়োজন কেন পড়ল, আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে তা জানতে চান প্রধান বিচাপতি এস এ বোবডে, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। জবাবে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারতকে একটি যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদটি সংশোধন করা প্রয়োজন। ইন্ডিয়ার পরিবর্তে সেখানে ভারত অথবা হিন্দুস্তান যে কোনও একটি নাম থাকা উচিত।

তবে ভারতের প্রধান বিচারপতি বোবডে বলেন, ‘‘আমরা এটা করতে পারব না। সংবিধানে ইন্ডিয়াকে ভারত বলাই রয়েছে।’’ তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে আবেদন জানানোর অনুমতি চান আবেদনকারীর আইনজীবী। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটাকে আবেদন হিসাবে দেখতে পারে।’’